ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত যুবকের মৃত্যু।নিউজ ডেস্কঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে ১০জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত যুবক ৬দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম নুরে-আলম। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবন্থায় তার মৃত্যু হয়। আহত হওয়ার ঘটনায় গত শনিবার নুরে-আলমের মা বাদী হয়েসোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের ফতেহপুর দড়িকান্দি এলাকায় গত ২৫ ফেব্রæয়ারী শুক্রবার বিকেলে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নুরে আলমসহ ১০জন আহত হন। স্থানীয় ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে নুরে-আলমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর একটি বেসরকারী হাসপালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ৬ দিন ওই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
উপজেলাা সনমান্দি ইউনিয়নের ফতেহপুর দড়িকান্দি এলাকায় গত শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় কুমারচর গ্রামের সঙ্গে গাংকুলকান্দী নামে দু’দলের মধ্যে ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা চলাকালীন সময়ে গাংকুলকান্দী এলাকার হানিফ ও আউয়াল মিয়ার সাথে কুমারচর এলাকায় নুরে আলমের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিকেল ৫ টার দিকে গাংকুলকান্দী ও দড়িকান্দি এলাকার হানিফ, আউয়ালের নেতৃত্বে অনিক, শাহ আলী, সাইদুল মিয়া, মারুফ, শরিফ, সানজিদ হোসেন, মুসাসহ ২০-২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দা, ছেনা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নুরে আলম ও তার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা রনি, খোরশেদ, রাসেল, সাখাওয়াত, নূরে আলমসহ ১০জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ও ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে
নিহত নুরে আলমের চাচাতো ভাই মহসিন মিয়া জানান, আহত নুরে আলম ৬দিন আইসিইউতে থাকার পর বিকেল সাড়ে ৪টায় নুরে আলম মারা যায়।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, ক্রিকেট খেলার দ্বন্দে একজনের মৃত্যুর খবর জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। মৃত্যু হয়ে থাকলে আগের মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে।