সোনারগাঁয়ে স্বেচ্ছা সেবকলীগ সভাপতি ও নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের আওয়ামী স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি ও নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেনকে জরিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এমন অভিযোগ করেছেন ভোক্তভোগীর পরিবার। সোমবার সকালে মোগরাপাড়া একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভোক্তভোগীর পরিবার জানান, উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের আওয়ামী স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন র্দীঘদিন ধরে সুনামে সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার পাশাপাশি মারবদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। গত ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সনমান্দী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে দেলোয়ার হোসেন মোরগ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পরাজিত করে ৫ শত ১৮ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হন। ২২ ডিসেম্বর নির্বাচিত সদস্যদের নাম উল্লেখ করে বাংলাদেশ গেজেট প্রকাশ করায় তার প্রতিদ্বন্দ¦ী প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদসহ অন্যপ্রার্থীরা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। গত শনিবার সনমান্দী ইউনিয়নের সাজালেরকান্দি গ্রামে এক হত্যা কান্ডের ঘটনায় তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রর্থীরা দেলোয়ার হোসেনকে জরিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করলে তাকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দেলোয়ারে মুক্তির দাবী ভুক্তভোগী পরিবার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছোনকান্দা গ্রামের কয়েকজন যুবক ও বৃদ্ধা জানান, দেলোয়ার হোসেন একজন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি এলাকার গরীব-অসহায় মানুষদের বিপদে-আপদে সবসময় নগদ টাকাসহ বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করে থাকেন। তিনি গরীবের বন্ধু হিসেবে তাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন এলাকাবাসী। তাই তাকে হয়রানি করা হচ্ছে।
জানা যায়, গত শনিবার সনমান্দী ইউনিয়নের সাজালেরকান্দি গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়া নামের এক যুবককের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নয়ন মিয়া ও তার আরও তিন ভাই তালিকা ভুক্ত ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী। বর্তমানে শফিকুল ও মফিজুর নামের দুই ভাই নারায়ণগঞ্জ কারাগারে রয়েছে।