ভয়েস অব সোনারগাঁ বিডি ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ছোট অর্জুন্দী গ্রামে পলাশ (১৩) নামে এক স্কুল ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার নিজ বাড়ীতে সে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরদিন সোমবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত পলাশ উপজেলার মোগড়াপারা উপজেলার ছোট অর্জুন্দী এলাকার মৃত. শাহিনের ছেলে ও মোগড়াপারা এইচ জিজি এস স্মৃতি বিদ্যায়তনের ৮ম শ্রেনীর ছাত্র।
নিহত স্কুল ছাত্র পলাশ আত্মহত্যা করেছে না তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে তা রহস্যজনক। কিন্তু এলাকাবাসী ও সহপাঠীরা বলছে ভিন্ন কথা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী ও অন্যান্য সহপাঠীরা বলছে, পলাশ আত্মহত্যা করতে পারে না, অন্য কোন ঘটনাও ঘটে থাকতে পারে, যা ময়না তদন্তের মাধ্যমে বের হয়ে আসবে। পলাশের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পলাশের সহপাঠিদেরসূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন বিকেলে স্কুল ছাত্র পলাশ প্রাইভেট পড়া শেষ করে মোগড়াপারা হাই স্কুলের মাঠে তার সহপাঠীদের সাথে খেলাধুলা করছিলো। এর কিছুক্ষন পর সে পানি পান করার কথা বলে তার বাড়ীতে চলে যায়। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে ঘরের দরজা বন্ধ করে বোরকা পরিহিত অবস্থায় গলায় তার মা পারুলের একটি ওড়না গলায় পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্বহত্যা করে। এদিকে তার মা তাকে এদিকে সেদিকে খুঁজে না পেয়ে ঘরে গিয়ে দেখেন পলাশ ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। এর কিছুপর তার ডাক চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে পলাশকে উদ্ধার করে দ্রুত প্রথমে মোগড়াপারা চৌরাস্তা এলাকায় স্থানীয় রয়েল ক্লিনিকে নিয়ে যায় ও পরে সেখান থেকে মা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। সন্ধ্যার পর খবর পেয়ে পুলিশ পলাশের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং পরদিন সোমবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সূত্রে আরও জানা গেছে, নিহত পলাশের লাশ পুলিশ থানায় নিয়ে গেলে তার পরিবার ও স্বজনরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিকট জোর তদবীরের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে নিহতের লাশ দাফন করে। এঘটনায় এলাকাবাসী ও নিহতের বন্ধুমহলের মাঝে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের সকলের দাবী, ময়না তদন্তের মাধ্যমে জরুরীভাবে পলাশের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা হোক।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রউফ জানান, নিহতের লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই জানা যাবে মৃত্যুর রহস্য।